• ৩ পৌষ ১৪৩২, রবিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Election

কলকাতা

রোহিঙ্গা ভোটার নিয়ে বিজেপির দাবি ভুয়ো? কমিশনের নাম করে পাল্টা অভিষেক

অনুপ্রবেশকারী ভোটার ইস্যুতে ফের বিজেপিকে কড়া আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, বিজেপির তোলা অভিযোগ নির্বাচন কমিশন নিজেই খারিজ করে দিয়েছে। বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ভোটার তালিকার সামারি রিভিশন বা এসএসআর প্রক্রিয়ায় সাধারণত দেড় থেকে দুই শতাংশ মৃত ভোটারের নাম বাদ যায়, এটা নতুন কিছু নয়।অভিষেকের বক্তব্য, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ক্লেম অ্যান্ড অবজেকশন পর্ব শেষ হওয়ার পরে, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তখনই স্পষ্ট হবে কার নাম থাকছে আর কার নাম বাদ যাচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি যে এক কোটি বা দেড় কোটি রোহিঙ্গা ভোটারের গল্প ছড়াচ্ছে, তা নির্বাচন কমিশনই নাকচ করে দিয়েছে।তিনি আরও বলেন, যদি সত্যিই কোথাও অনুপ্রবেশকারী বা রোহিঙ্গা ভোটার থাকে, বিজেপি সেই তালিকা প্রকাশ করুক। একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, দেশের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব যাঁর হাতে, সেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তাঁর অধীনে থাকা বিএসএফ ও সিআরপিএফ তখন কী করছিল? সীমান্তে নজরদারি যদি ঠিকমতো হয়, তা হলে এত অনুপ্রবেশ ঘটছে কীভাবে, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।অনুপ্রবেশ ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিজেপি দীর্ঘদিন ধরেই সরব। বিজেপির দাবি, এসআইআর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে দেশছাড়া করা হবে। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকায় এমন ছবি সামনে এসেছে, যেখানে একাধিক বাংলাদেশি নাগরিককে বাক্স-প্যাটরা নিয়ে সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। তাঁরা বিএসএফ-এর অনুমতির অপেক্ষায় ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।এই আবহেই এসআইআর-এর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সেই তালিকা থেকে প্রায় ৫৪ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

কলকাতা প্রেস ক্লাবের নির্বাচনে নতুন কমিটি গঠন, ফের জয়ী সভাপতি, সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ

শনিবার অনুষ্ঠিত কলকাতা প্রেস ক্লাবের বার্ষিক নির্বাচন হয়। একই দিনে ভোট গণনার পর নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন স্নেহাশিষ শূর। সম্পাদক পদে ফের জয়ী হয়েছেন কিংশুক প্রামানিক। কয়েক বছর পর সভাপতি ও সম্পাদক পদে সরাসরি লড়াই হল। যদিও বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন সভাপতি ও সম্পাদক। বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন অরিজিৎ দত্ত। এদিন সদস্য-সদস্যাদের উপস্থিতির হার ছিল বেশ নজরকাড়া। এই নির্বাচনে সম্পাদক পদে ফের জয়ী হয়েছেন কিংশুক প্রামানিক। নির্বাচনে তিনি সর্বোচ্চ ৩৮৪ ভোট পেয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেলেন, অন্যদিকে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মুস্তাক খান পেয়েছেন ৮৬ ভোট। পূর্বের সভাপতি স্নেহাশিস শূর আবারও সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ৩২৬ ভোট নিয়ে পুনরায় দায়িত্বে ফিরেছেন। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সুদীপ্ত সেনগুপ্ত পেয়েছেন ১৭৬ ভোট।সহ সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন শৈবাল বিশ্বাস (২৫৮ ভোট) এবং শুভদ্যুতি দত্ত (২১৬ ভোট)। সহ সম্পাদক পদে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় নিতাই মালাকার আগেই নির্বাচিত হয়েছেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, অরিজিৎ দত্ত ফের নির্বাচিত হয়েছেন কোষাধ্যক্ষ পদে। অরিজিৎ দত্ত পেয়েছেন ৩৮০ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী মৃণালকান্তি সরকার পেয়েছেন ১০১ ভোট।কার্যকরী সমিতির জন্য নির্বাচিত সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন:অংশু চক্রবর্তী ৩৩৫ ভোটঅনিন্দিতা সিনহা ৩২৪ ভোটসুগত বন্দ্যোপাধ্যায় ৩১০ ভোটদেবাশিস সেনগুপ্ত ৩০৯ ভোটসুমন গঙ্গোপাধ্যায় ৩০৭ ভোটপুলক মিত্র ২৭৭ ভোটসত্যব্রত ভট্টাচার্য ২৪৯ ভোটদেবযানী লাহা ঘোষ ২৪৭ ভোটনতুন কার্যনির্বাহী কমিটি:সভাপতি: স্নেহাশিস শূরসহ সভাপতি: শৈবাল বিশ্বাস ও শুভদ্যুতি দত্তসম্পাদক: কিংশুক প্রামাণিকসহ সম্পাদক: নিতাই মালাকারকোষাধ্যক্ষ: অরিজিৎ দত্তকার্যকরী সদস্যরা:অনিন্দিতা সিনহা, অংশু চক্রবর্তী, দেবাশিস সেনগুপ্ত, দেবযানী লাহা ঘোষ, পুলক মিত্র, সত্যব্রত ভট্টাচার্য, সুগত বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুমন গঙ্গোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫
রাজ্য

ফলতায় মহিলাদের ক্ষোভের মুখে নির্বাচন পর্যবেক্ষক! ছাতা হাতে ধাওয়া, স্লোগানে উত্তেজনা

ফলতায় নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক সি মুরুগান বৃহস্পতিবার মহিলাদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বৃদ্ধ ভোটারদের তালিকা যাচাই করতে তিনি দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পায়রাচালি এলাকায় যান। ৮৫, ৮৬ ও ৮৭ নম্বর বুথের ভোটাররা ঠিক আছেন কিনা, তাঁরা জীবিত কিনাসেটা খতিয়ে দেখতে তিনি বাড়ি বাড়ি যাচ্ছিলেন।ঠিক সেই সময় এলাকার তৃণমূল-সমর্থিত মহিলাদের একদল হঠাৎ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কেউ ছাতা হাতে তেড়ে যান, কেউ আঙুল তুলে স্লোগান দিতে থাকেন। অভিযোগ করতে থাকেনকেন গ্রামে রাস্তা হয়নি, কেন ঘর পাচ্ছেন না, কেন ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ। এসব উন্নয়নমূলক অভিযোগই তাঁরা পর্যবেক্ষকের সামনে তুলতে থাকেন।মুরুগান পরে জানান, এই ধরনের অভিযোগের সঙ্গে এসআইআর-এর কোনও সম্পর্ক নেই। এসআইআর হল ভোটার তালিকা সংক্রান্ত প্রক্রিয়া, উন্নয়ন বা সরকারি প্রকল্পের কাজ নয়এই বিষয়টি তিনি স্পষ্ট করেন। তবুও বিক্ষোভ থামেনি।ঘটনায় অসন্তুষ্ট মুরুগান জানান, তিনি পুরো ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট আজই জাতীয় নির্বাচন কমিশনে পাঠাবেন। তাঁর কথায়, আপত্তি থাকলেও এসআইআর-এর কাজ নিয়মমতো চলবে। বিক্ষোভের জেরে এলাকায় কিছুক্ষণ উত্তেজনা তৈরি হয়, তারপর পর্যবেক্ষক সেখান থেকে ফিরে আসেন।

ডিসেম্বর ১১, ২০২৫
কলকাতা

কাজ না হলেও প্রচার চাই! জেলাশাসকদের ‘বিশেষ নির্দেশ’—বোমা ফাটালেন শুভেন্দু, ভোটের মুখে দলে ঢল বিজেপিতে

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, জেলায় জেলায় উন্নয়নমূলক কাজ না হলেও সরকারের তরফে জেলাশাসকদের প্রচার বাড়ানোর বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যজুড়ে ৯১১৪টি প্রকল্পে সাত হাজার কোটি টাকার টেন্ডার করা হচ্ছে, অথচ সেই টাকার মাত্র দশ শতাংশ বরাদ্দ করা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, সরকার জানে বাকি টাকা দেওয়া সম্ভব নয়, তাই জেলাশাসকদের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের মাধ্যমে প্রচার বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।শুভেন্দুর অভিযোগ, কাজ না হলেও এলাকায় দৃশ্যমান প্রচার চালিয়ে যেতে হবে বলে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পের শিলান্যাসের পরে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরেও মিটিং করতে বলা হয়েছে। সেখানে অন্তত ৫০০ জনকে উপস্থিত রাখতে হবে এবং তার অর্ধেকই হতে হবে মহিলাএমন নির্দেশ এসেছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।এদিন শুভেন্দু আরও বলেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে বহু মানুষ বিজেপিতে যোগ দিতে আগ্রহী। বিজেপির লক্ষ্য৩৯ শতাংশ ভোটকে বাড়িয়ে ৫১ শতাংশে নিয়ে যাওয়া। এই দিনই তিনজন বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সহকারী অধ্যাপক অজয় কুমার দাস, যিনি আগে আইএসএফের প্রার্থী ছিলেন। যোগ দিয়েছেন অধ্যাপক সঞ্জীব হাঁসদা, যিনি আদিবাসী সমাজ নিয়ে কাজ করেন। আরও যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন পুলিশ অফিসার বঙ্কিম বিশ্বাস, যিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে পদত্যাগ করেছেন।ভোটের আগে সরকারের নির্দেশ, প্রশাসনের ভূমিকা এবং দলে যোগদানসব মিলিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তাপ তৈরি হয়েছে।

ডিসেম্বর ০৮, ২০২৫
রাজ্য

৫১৭ ভোটার, একজনও মৃত নয়! ঘাটালের রহস্যময় বুথ ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য

রাজ্যের বেশ কয়েকটি বুথকে বিশেষ নজরে রেখেছে নির্বাচন কমিশন। কারণ, ওই সব বুথে মৃত ভোটার নেই বললেই চলে, এমনকী বহু ভোটার ঠিকানাও বদল করেননি। এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, তবে অন্যান্য জেলাতেও একই ছবি মিলেছে। তার মধ্যেই সবচেয়ে নজর কেড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার চন্দ্রকোনা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বুথ।এই ১৪৮ নম্বর বুথে মোট ভোটার ৫১৭ জন। ডিজিটাইজড এনুমারেশন ফর্ম রয়েছে ৫১৩ জনের। মাত্র ৪ জন স্থায়ী ভাবে ঠিকানা বদল করেছেন। কিন্তু আশ্চর্য বিষয় হল, চন্দ্রকোনা পৌরসভার বাকি ২০টি বুথে মৃত ভোটারের সংখ্যা ২৪৯ হলেও এই এক বুথে একজন মৃত ভোটারও নেই। কমিশনের প্রতিদিনের রিপোর্টে এই তথ্য উঠে আসতেই প্রশাসনের মধ্যে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা।এই বুথের বিএলও বিকাশ লাহা জানিয়েছেন, তাঁর বুথের ভোটার তালিকা যে কোনও সময়ে যাচাই করা যেতে পারে। তিনি দাবি করেন, ২০১২ সাল থেকে তিনি নিয়ম মেনে কাজ করছেন। কেউ মারা গেলে ডেথ সার্টিফিকেট পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই তিনি খোঁজ নিয়ে নাম বাদ দিতেন। এসআইআর শুরুর আগেই তিনি দুজন মৃত ভোটারের নাম বাদ দিয়েছেন বলেও জানান। তাঁর কথায়, পৌরসভার দেওয়া মৃত্যুর তালিকা আর ভোটার তালিকা মিলিয়ে দেখলেই সব পরিষ্কার হবে, তাই এ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই।তবে এর মধ্যেই সামনে এসেছে এক নতুন তথ্য। গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা উত্তম হাতি দেড় বছর আগে মারা গিয়েছেন। তাঁর স্ত্রী বন্দনা হাতি জানিয়েছেন, এসআইআর শুরু হওয়ার আগেই বিএলও এসে তাঁর স্বামীর তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন এবং ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দিয়েছেন বলেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কীভাবে মৃত ভোটার শূন্যের তালিকায় এই বুথ রইল, তা নিয়ে প্রশাসনেও ধোঁয়াশা কাটছে না।

ডিসেম্বর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

ভোটার তালিকায় মৃত্যু রহস্য! ৩ দিনে ২২০৮ থেকে নেমে এল মাত্র ২৯

প্রথমে সামনে এসেছিল ২২০৮টি এমন বুথের নাম, যেখানে ২০০২ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে একজন ভোটারেরও মৃত্যু হয়নি বলে দেখানো হয়েছিল। এই তথ্য সামনে আসতেই জোর শোরগোল শুরু হয়। প্রশ্ন ওঠে, এত বছরে কি সত্যিই ওই সব বুথে একজনও মারা যাননি? এরপর বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট চায় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে জেলার আধিকারিকরা। তারপর থেকেই অস্বাভাবিক গতিতে নামতে শুরু করে এই ধরনের বুথের সংখ্যা।সোমবার যেখানে এমন বুথের সংখ্যা ছিল ২২০৮, মঙ্গলবার তা নেমে আসে ৪৮০-এ। আর বুধবার সেই সংখ্যাই আরও কমে দাঁড়ায় মাত্র ২৯-এ। প্রথম দিনের হিসেবে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এমন বুথের সংখ্যা ছিল ৭৬০। বুধবার সেই সংখ্যা নেমে আসে ২০-এ। নতুন তথ্য অনুযায়ী, জলপাইগুড়িতে রয়েছে ১টি, মালদহে ৪টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২০টি, হাওড়ায় ১টি, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১টি ও পুরুলিয়ায় ২টি এমন বুথ, যেখানে এখনও পর্যন্ত কোনও মৃত ভোটারের নাম নেই।জেলাশাসকদের রিপোর্ট বলছে, বৃহস্পতিবারের মধ্যেই এই সংখ্যাও শূন্যে নেমে যেতে পারে। এই দ্রুত বদলে যাওয়া তথ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। বিরোধীদের বক্তব্য, যদি অবজারভার না আসতেন এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে তথ্য সংশোধনের নির্দেশ না দেওয়া হত, তাহলে কি এই ভুলগুলো ধরা পড়ত? এই পরিবর্তনের গতি ও ধরন নিয়েই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।এদিকে বুধবার পর্যন্ত কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০ লক্ষ ফর্ম জমা পড়েনি। মঙ্গলবার এই সংখ্যাটা ছিল ৪২ লক্ষ। ডিজিটাইজেশনের হার ইতিমধ্যেই ৯৮ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে মৃত ভোটারের সংখ্যা ২২ লক্ষ, ঠিকানা বদল করা ভোটার ১৭.৫ লক্ষ, নিখোঁজ ভোটার ৪ লক্ষ এবং ডুপ্লিকেট ভোটারের সংখ্যা ১.২ লক্ষ বলে জানানো হয়েছে। ভোটার তালিকা সংশোধন ঘিরে এই বিপুল পরিবর্তন ও অস্বাভাবিক পরিসংখ্যান প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও একাধিক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

ভুয়ো নাম ঢোকানোর অভিযোগের পরই কি কমিশনের ইউ-টার্ন? বদলে গেল পুরো সিস্টেম

৯৯ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম জমা পড়ে গিয়েছে। তবুও এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে একের পর এক অভিযোগ উঠে চলেছে। এক দিকে সোমবার বিএলও-দের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। অন্য দিকে বিজেপি ও বিরোধীদের অভিযোগ, ব্লক লেভেল অফিসারদের উপর চাপ দিয়ে ভুয়ো নাম ঢোকানোর চেষ্টা চলছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই সোমবার থেকেই বিএলও অ্যাপে আনা হল বড় বদল।এখন পর্যন্ত এনুমারেশন ফর্ম সংগ্রহ করার পর বিএলও-রা সেই তথ্য অ্যাপে এন্ট্রি করতেন। কিন্তু একবার এন্ট্রি হয়ে গেলে আর সংশোধনের কোনও সুযোগ ছিল না। মঙ্গলবার থেকে সেই নিয়ম বদলে যাচ্ছে। এবার অ্যাপে যুক্ত করা হল এডিট অপশন। অর্থাৎ কোনও ভুল হলে এবার বিএলও-রা নিজেরা সংশোধন করতে পারবেন, পাশাপাশি ইআরও-রাও সেই তথ্য এডিট করতে পারবেন।সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের আসার পরেই এই বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগের চাপেই কি এই বদল? সেই প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ বিরোধীদের দাবি ছিল, জোর করে ভুয়ো নাম এন্ট্রি করানো হচ্ছে বিএলও-দের দিয়ে।সোমবার রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজে সিইও দফতরে গিয়ে এই অভিযোগ জানান। তিনি বলেন, বিএলও-দের থেকে ওটিপি নিয়ে আইপ্যাক-এর লোকেরা বেআইনিভাবে নাম ঢোকাচ্ছে। তাঁর নেতৃত্বেই বিজেপির প্রতিনিধিরা সেদিন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে ডেপুটেশন দেন।এই অভিযোগের পরই নির্বাচন কমিশন বিএলও অ্যাপে এই গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নতুন ব্যবস্থায় ভুল ধরার পাশাপাশি সংশোধনের সুযোগ থাকায় এবার নাম এন্ট্রি নিয়ে স্বচ্ছতা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫
কলকাতা

ভোটার তালিকা নিয়ে আজ কমিশনের দরবার, সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ

ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় পরিমার্জন ঘিরে বাংলায় যখন একের পর এক অভিযোগ উঠছে, সেই অবস্থায় সরাসরি মানুষের কথা শোনার জন্য দরবার বসাল নির্বাচন কমিশন। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এই বিশেষ শুনানি চলছে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের দোতলায় বসে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতা ও বিভিন্ন সংগঠনের অভিযোগ শুনছেন বিশেষ পর্যবেক্ষক সুব্রত গুপ্ত।সম্প্রতি বাংলার জন্য বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ১৯৯০ ব্যাচের অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার সুব্রত গুপ্তকে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার তাঁকে বাংলার এসআইআর-এর দায়িত্ব দেন। রবিবার থেকেই পুরো দমে কাজে নেমে পড়েছেন এই পর্যবেক্ষক।কমিশনের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে যে কোনও অভিযোগ, অনুযোগ বা সমস্যা সরাসরি এসে জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ। শাসক দল থেকে বিরোধী দলসবারই নানা অভিযোগ রয়েছে। সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও আতঙ্ক ও ক্ষোভ রয়েছে। সেই সব কথাই সরাসরি শোনা হচ্ছে এই দরবারে।শুধু কলকাতায় বসে কাজ নয়, সোমবার থেকেই জেলায় জেলায় নেমে পড়েছে কমিশনের বিশেষ দল। মোট ১৩ জন পর্যবেক্ষক একসঙ্গে কাজ শুরু করেছেন। এই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সুব্রত গুপ্ত। ইতিমধ্যেই তিনি ফলতা এলাকা ঘুরে এসেছেন। বাকি ১২ জন পর্যবেক্ষকও নিজেদের দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলাগুলিতে গিয়ে একেবারে তৃণমূল স্তরে ভোটার তালিকার কাজ খতিয়ে দেখবেন। কোথাও ভুল বা অনিয়ম হলে তা সরাসরি কমিশনকে জানানো হবে বলেই সূত্রের খবর।ভোটার তালিকার এই বিশেষ পরিমার্জন ঘিরে রাজ্য জুড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। সেই আবহেই কমিশনের এই সক্রিয় ভূমিকা নতুন করে কৌতূহল বাড়িয়েছে।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫
দেশ

লক্ষদ্বীপ প্রথম, উত্তর প্রদেশ একেবারে শেষে! ভোটার তালিকায় বড় ফাঁকফোকরের ইঙ্গিত

দেশের ৯টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে চলছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় পরিমার্জনের কাজ। প্রথম দফায় পরীক্ষামূলক ভাবে এই কাজ শুধু বিহারেই শুরু হয়েছিল। দ্বিতীয় দফায় তা একসঙ্গে একাধিক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হয়েছে। এই কাজ ঘিরেই শুরু হয়েছে নানা বিতর্ক। কোথাও আতঙ্ক, কোথাও অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাও সামনে এসেছে। কোনও কোনও রাজ্যে আত্মঘাতী হয়েছেন বিএলও-ও। এই পরিস্থিতির মধ্যেই নিজের গতিতে চলছে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। সোমবার সেই কাজের বর্তমান অবস্থা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, শুক্রবার পর্যন্ত লক্ষদ্বীপে ১০০ শতাংশ ডিজিটাইজেশন সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে এখন শুধুই খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের অপেক্ষা। লক্ষদ্বীপে মোট ভোটারের সংখ্যা ৫৭ হাজারের একটু বেশি। সেখানে কাজ করেছেন ৫৫ জন বিএলও।লক্ষদ্বীপের পরেই রয়েছে গোয়া। সেখানে এখনও পর্যন্ত ৯২ শতাংশ ফর্ম ডিজিটাইজড হয়েছে। গোয়ায় মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লক্ষ ৮৫ হাজার। কাজ করেছেন ১ হাজার ৭২৫ জন বিএলও। তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাজস্থান। সেখানে ৮৯ শতাংশ ফর্ম ডিজিটাইজড হয়েছে। রাজস্থানে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ কোটি ৪৬ লক্ষেরও বেশি। কাজ করেছেন ৫২ হাজার ২২২ জন বিএলও।এর পরেই চতুর্থ স্থানে রয়েছে বাংলা। বাংলায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮৮ শতাংশ ভোটার তালিকার ফর্ম ডিজিটাইজড হয়েছে। পঞ্চম স্থানে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ। সেখানে ৮৬ শতাংশ কাজ হয়েছে। রাজ্যে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ কোটি ৭৪ লক্ষ। কাজ করেছেন ৬৫ হাজার ১৪ জন বিএলও।ষষ্ঠ স্থানে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরি। সেখানে ৮৩ শতাংশ ফর্ম ডিজিটাইজ হয়েছে। মোট ভোটার ১০ লক্ষ ২১ হাজার। কাজ করছেন ৯৬২ জন বিএলও। সপ্তম স্থানে রয়েছে গুজরাট। সেখানে এখনও পর্যন্ত ৮১ শতাংশ ফর্ম ডিজিটাইজ হয়েছে। সেখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ কোটি ৮ লক্ষেরও বেশি। কাজ করছেন প্রায় ৫০ হাজার বিএলও।অষ্টম স্থানে রয়েছে ছত্তিশগড়। সেখানে ৭৭ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর পরেই রয়েছে আন্দামান ও নিকোবর। সেখানে ৭৬ শতাংশ ফর্ম ডিজিটাইজ হয়েছে। দশম স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। সেখানে ৭৫ শতাংশ কাজ হয়েছে।এই তালিকার একেবারে নীচে রয়েছে কেরল ও উত্তর প্রদেশ। কেরলে এখনও পর্যন্ত মাত্র ৬৪ শতাংশ ফর্ম ডিজিটাইজ হয়েছে। আর উত্তর প্রদেশে সবচেয়ে কম, প্রায় ৫৫ শতাংশ কাজই শেষ হয়েছে। কমিশনের এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫
দেশ

পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর প্রক্রিয়ায় কমিশনের কঠোর বার্তা, চাপ বাড়ছে শাসক দলের অভ্যন্তরে

এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি সরগরম। একদিকে, একাধিক ব্লক লেভেল অফিসারের মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ, অন্যদিকে ডিজিটাইজেশনের ক্ষেত্রে রাজ্য অনেকটা এগিয়ে রয়েছে। তৃণমূলের শাসক দল শুরু থেকেই এই প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে পথে নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের দফতরে হাজির হয় তৃণমূলের ১০ প্রতিনিধি। সূত্রের খবর, কমিশন প্রতিনিধি দলকে আইন ও প্রক্রিয়ার সব দিক পরিষ্কার করে বোঝায়।কমিশন জানিয়েছে, রাজনৈতিক বক্তব্য থাকতে পারে, তবে এসআইআর নিয়ে ভুল প্রচার বা বিএলওদের হুমকির কোনো সুযোগ নেই। কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র ভারতীয় ভোটাররা ভোট দেবে, অনুপ্রবেশকারীরা নয়। নির্বাচনের সব কাজ নির্বাচনী আইন মেনে হবে।কমিশনের বার্তার পর তৃণমূল অভিযোগ করেছে, আদতে বিএলওদের হুমকি দিচ্ছে বিজেপি। তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, এটা কি শুধু পশ্চিমবঙ্গের জন্য বলছে? গুজরাটেও বিএলও আত্মহত্যা করেছে। শুভেন্দু অধিকারী তো বিএলওদের জেলে ঢোকানোর হুমকি দিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে কমিশন কেন কোনো পদক্ষেপ নিল না?অন্যদিকে, বিজেপি জানাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে ৮৫ শতাংশ ফর্ম ইতিমধ্যেই ডিজিটাইজড করা হয়েছে। বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ফুল বেঞ্চ স্পষ্ট ভাষায় তৃণমূলকে বলেছে নির্বাচনের পবিত্রতা রক্ষা করতে। এবার তৃণমূলকেও লাইনে আসতে হবে।এসআইআর প্রক্রিয়ার তত্ত্বাবধানের জন্য রাজ্যে আসছেন নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক সুব্রত গুপ্ত। তিনি জেলায় জেলায় গিয়ে প্রক্রিয়ার কাজ খতিয়ে দেখবেন। সঙ্গে থাকবেন মোট ১২ জন অভিজ্ঞ আইএএস অফিসার। প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখে তারা রিপোর্ট পাঠাবেন বিশেষ পর্যবেক্ষককে।

নভেম্বর ২৯, ২০২৫
দেশ

‘ভুয়ো ভোটারে সরকার বৈধ?’ কমিশনের সামনে বিস্ফোরক প্রশ্ন তৃণমূলের

একুশ জুলাই শহিদ মঞ্চ থেকে হুঁশিয়ারিই দিয়েছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন বা SIR ঘিরে সমস্যা তৈরি হলে বাংলা ছেড়ে দিল্লি যেতে এক মুহূর্তও দেরি হবে না। কয়েক মাসের ব্যবধান। বাংলায় SIR শুরু হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই সেই হুঁশিয়ারি বাস্তবে রূপ নিল। শুক্রবার সকালে দিল্লির বুকে নির্বাচন কমিশনের দরজায় হাজির হয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল।দলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন-এর নেতৃত্বে মোট ১০ জন সাংসদ কমিশনের দফতরে যান। উল্লেখযোগ্যভাবে, সোমবার ভার্চুয়াল বৈঠক থেকেই এই প্রতিনিধি দল গঠন করে দিয়েছিলেন অভিষেক নিজেই। সেই দলে ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শতাব্দী রায়, দোলা সেন, মহুয়া মৈত্র, প্রকাশ চিক বরাইক, সাজদা আহমেদ, মমতাবালা ঠাকুর, প্রতিমা মণ্ডল এবং সাকেত গোখলে।শুক্রবার প্রায় দুঘণ্টা ধরে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার-এর সঙ্গে বৈঠক করেন ডেরেকরা। বৈঠক শুরুর আগেই কমিশনারের হাতে একটি তালিকা তুলে দেন তৃণমূল সাংসদরা। সেই তালিকামৃতের তালিকা। ডেরেকের দাবি, SIR-এর জেরে এখনও পর্যন্ত ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই তালিকাই আমরা কমিশনারের হাতে তুলে দিয়েছি। ওদের হাতে রক্ত লেগে আছে।বৈঠকে মোট পাঁচটি প্রশ্ন তুলে ধরে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। প্রথম প্রশ্ন ছিল, ভুয়ো ভোটার এবং অনুপ্রবেশকারীদের বাদ দিতেই যদি শুধু SIR শুরু হয়, তা হলে ত্রিপুরার মতো রাজ্য বাদ কেন? দ্বিতীয় প্রশ্নযাঁদের আজ কমিশন ভুয়ো বলছে, তাঁদের ভোটেই তো গঠিত হয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার, তা হলে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারও কি অবৈধ? তৃতীয় প্রশ্নে বিএলও-দের মৃত্যুর দায় কারসেই প্রশ্ন তোলা হয় কমিশনের সামনে। চতুর্থ প্রশ্নে তৃণমূল দাবি করে, বাংলায় বিজেপির নেতারা যখন প্রকাশ্যে বলছেন ১ কোটি ভোটার বাদ যাবে, তখন মানুষকে ভয় দেখানো হচ্ছে কেন এবং কেন তা থামানো হচ্ছে না। পঞ্চম প্রশ্ন ছিল, বিহারে ভোটের আগে মহিলাদের ১০ হাজার টাকা দেওয়া হল, অথচ বাংলায় সহায়তা কেন্দ্রের কর্মীদের দিয়ে ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজ পর্যন্ত করাতে রাজি নয় কমিশনএর কারণ কী?তৃণমূল সাংসদদের দাবি, এই পাঁচটি প্রশ্নের কোনওটারই সরাসরি উত্তর কমিশন দেয়নি। বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক থেকে ডেরেক বলেন, তৃণমূল SIR-এর বিরোধী নয়। আমরা চাই এটা সঠিকভাবে হোক। কিন্তু আমরা যে প্রশ্নগুলি করেছি, তার কোনওটারই উত্তর দেওয়া হয়নি। নানা কথা বলা হয়েছে, শুধু মূল বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। শতাব্দী রায় যখন মৃতের তালিকাটি কমিশনারের হাতে দেন, তখন তাঁর মুখে বিস্ময় ধরা পড়ে বলেও দাবি তৃণমূল নেতাদের।রাজনৈতিক মহলের মতে, SIR ঘিরে রাজ্য-দিল্লি সংঘাত এবার প্রকাশ্যে চলে এসেছে। একুশ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে যে রাজনৈতিক বার্তা দেওয়া হয়েছিল, তারই বাস্তব রূপ দেখা গেল শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের দরজায়। এই সংঘাত আগামী দিনে আরও তীব্র আকার নেবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক শিবির।

নভেম্বর ২৮, ২০২৫
কলকাতা

এসআইআর নিয়ে কমিশনের দরজায় তৃণমূল! শুক্রবার বৈঠকে কী বিস্ফোরক তথ্য দেবে দল?

এসআইআর নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। অবশেষে নির্বাচন কমিশনের দরবারেই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার রাতেই রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন ই-মেল করে কমিশনের কাছে বৈঠকের আবেদন জানান। সেই আবেদনের জবাব এসেছে দ্রুত। কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, শুক্রবার সকাল ১১টা বৈঠকের সময় নির্ধারিত।কমিশনের বক্তব্য, এসআইআর চলাকালীন প্রতিটি রাজনৈতিক দলের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কাজেই তৃণমূলের বক্তব্যও শোনা হবে। শুধু তৃণমূল নয়, আরও চারটি রাজনৈতিক দলকে একই দিনে বৈঠকে ডাকা হয়েছে। কারা সেই দলতা স্পষ্ট না করলেও রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে।তৃণমূলের চার প্রতিনিধি এই বৈঠকে যোগ দেবেন। গেরুয়া শিবির, বাম, কংগ্রেসসব পক্ষই কাছে নজর রাখছে, কারণ এসআইআর-কে ঘিরে অভিযোগ-প্রতিঅভিযোগ চলছেই।তার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি CEC জ্ঞানেশ কুমারকে একটি বিস্তারিত চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সেখানে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন ১ হাজার ডেটা এন্ট্রি অপারেটর ও ৫০ জন সফটওয়্যার ডেভেলপার নিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে। তাঁর অভিযোগ, জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের স্পষ্টভাবেই বলা হয়েছিল চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের দিয়ে এসআইআর-এর কাজ করানো যাবে না। বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের কর্মীদের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশিকা বহাল ছিল। তাহলে রাজ্যের সিইও অফিস কীভাবে এমন নিয়োগের প্রস্তাব দিলএই প্রশ্ন এখন বিস্ফোরক হয়ে উঠেছে।এখানেই শেষ নয়। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ভোটকেন্দ্র কোনও সরকারি বা আধা-সরকারি স্থাপনাতেই হওয়া উচিত। বেসরকারি জায়গা সাধারণত নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য উপযুক্ত নয়। তাঁর এই মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। কেউ কেউ বলছেন, নির্বাচন ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা রক্ষায় এই প্রশ্ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; আবার শাসক-বিরোধী লড়াইতেও এই ইস্যু বাড়িয়ে দিতে পারে উত্তেজনা।এসআইআর বা Social Impact Review এখনই ভোটের আগে সবচেয়ে আলোচিত কিওয়ার্ড হয়ে উঠেছে। শুক্রবারের বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়, সেই দিকেই তাকিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।

নভেম্বর ২৫, ২০২৫
কলকাতা

বিবাদী বাগে আগুন! নির্বাচন কমিশনের গেটে তালা দিতে ছুটলেন বিএলও, ধস্তাধস্তিতে উত্তাপ

কলকাতার বুকে আজ যেন দুদিক থেকে আগুন। একদিকে নবাগত চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষোভে ফুঁসছে রাজপথ, অন্যদিকে মুখ্য নির্বাচন অফিসারের দফতর ঘিরে তীব্র আন্দোলনে নেমেছেন বিএলওদের একাংশ। সকালে থেকেই বিবাদী বাগ এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টাসব মিলিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশকে।নির্বাচন কমিশনের অফিসের সামনে ব্যারিকেডের দুই পাশে দুই শিবির। এক পাশে কড়া নিরাপত্তায় দাঁড়িয়ে পুলিশকর্মীরা, আর অন্য পাশে ক্ষুব্ধ বিএলওরা। হঠাৎই এক বিএলও কমিশনের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁকে আটকে দেয়। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে ভিড়। অনেকে সামনেই বসে পড়েন ধরনায়। ধাক্কাধাক্কিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। এমনকি বিক্ষোভ চলাকালীন এক বিএলও অসুস্থ হয়ে পড়েন।বিএলওদের অভিযোগ, কয়েক দিন ধরেই তাঁদের ওপর অস্বাভাবিক চাপ তৈরি করা হয়েছে। প্রতিদিনই ফোনে নতুন নির্দেশ আসছে, সঙ্গে আছে ডিজিটাইজেশনের চাপ। তাঁদের দাবি ছিলফর্ম ডিজিটাইজ করার জন্য কিছুটা সময় বাড়ানো হোক। কিন্তু রাজ্যে এসে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার স্পষ্ট করে দেন, একটুও সময় বাড়ানো হবে না। বরং ৪ ডিসেম্বর নয়, ২৫ নভেম্বরের মধ্যেই সব কাজ শেষ করতে হবে। আর সেই নির্দেশের প্রতিবাদে আজ রাস্তায় নেমে পড়েছেন বিএলওদের একাংশ।এক বিক্ষুব্ধ বিএলও বলেন, আমাদের ওপর অমানবিক চাপ দেওয়া হচ্ছে। কাজ করব না এমন নয়কিন্তু এত কম সময়ে এই বিশাল দায়িত্ব পালন করা অসম্ভব। সঠিক পরিকল্পনাই নেই। আরও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরাবাংলায় কেন এত সমস্যা? কেন বাকি রাজ্যগুলির মতো যথাযথ প্রশিক্ষণ বা পরিকাঠামো দেওয়া হয়নি?নবাগত চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন সামলাতে ব্যস্ত পুলিশকে আজ একই সঙ্গে সামলাতে হচ্ছে কমিশন ভবনের সামনে ক্ষুব্ধ বিএলওদেরও। দিনের শেষে পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়েই চরম উত্তেজনা শহরজুড়ে।

নভেম্বর ২৪, ২০২৫
রাজ্য

‘গোপন চাপ’ ফাঁস করলেন বিএলওরা! ভোটার তালিকায় নাম তুলতে রাজনৈতিক দবাব? চাঞ্চল্য কমিশনে

পরতে-পরতে বাড়ছে বিস্ময়। পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক বিএলও-র মৃত্যু, আর তার মাঝেই সামনে এলো অন্য এক অভিযোগযে চাপের কথা এতদিন কেউ খোলাখুলি বলছিলেন না, সেই গোপন চাপ-এর অভিযোগ তুললেন বিএলও ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী নয়, সরাসরি নির্বাচন কমিশনের দোরগোড়ায় গিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়ে উঠে এল এই বিস্ফোরক অভিযোগ।স্বপন মণ্ডল জানান, কমিশনের প্রশাসনিক চাপ, ডেডলাইন, ডেটা এন্ট্রিএসবের বাইরে আরও এক অদৃশ্য চাপ চেপে বসেছে জেলার পর জেলা। মালদহ থেকে তাঁকে ফোন করে জানানো হয়, কিছু ব্যক্তি বাবা বা ঠাকুমার পরিচয় দেখিয়ে একসঙ্গে চারপাঁচজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করানোর জন্য বিএলওদের উপর চাপ সৃষ্টি করছেন। অথচ তাদের সঙ্গে ২০০২ সালের তালিকাভুক্ত ব্যক্তির কোনও প্রকৃত সম্পর্কই নেই। কারা সেই মানুষ? কেনই বা এমনভাবে তালিকা ভরানোর চেষ্টা? স্বপনবাবু সরাসরি কোনও দলের নাম উল্লেখ না করলেও তাঁর ইঙ্গিত, রাজনৈতিক চাপ যে রয়েছে, তা স্পষ্ট। আরও বড় অভিযোগএই কাজে নাকি কিছু ERO-ও পরোক্ষে জড়িত।কমিশন আগেই জানিয়ে দিয়েছে, ফর্মে কোনও ভুল হলে দায় যাবে সরাসরি বিএলওদের ঘাড়েই। ফলে একদিকে কমিশনের কড়াকড়ি, অন্যদিকে অদৃশ্য চাপমাঝখানে দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছে সাধারণ স্কুলশিক্ষক থেকে শুরু করে গ্রাম-শহরের মাঠে নেমে থাকা হাজার হাজার বুথ লেভেল অফিসার। তাই বিএলওদের দাবি, ফর্ম আপলোডের আগে অ্যাপেই একটি রিমার্কস কলাম রাখতে হবে, যেখানে তারা সন্দেহ বা আপত্তি লিখে রাখতে পারবেন। সিইও দফতর নাকি এই প্রস্তাবে ইতিমধ্যে সম্মতি দিয়েছে।রাজ্যে ইতিমধ্যেই এসআইআর আতঙ্কে তিন বিএলও-র অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে তীব্র ক্ষোভ। এর মধ্যেই আবার উঠল রাজনৈতিক চাপ-এর অভিযোগ। রাজ্য সরকার মৃতদের পরিবারকে দুলক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করলেও স্বপন মণ্ডল তা সরাসরি ভিক্ষা বলে কটাক্ষ করেন। তাঁর দাবিএ রকম চাপের মধ্যে কাজ করলে আরও মৃত্যু অনিবার্য। উপরন্তু ERO-রা অহেতুক ২৫ তারিখের ডেডলাইন চাপিয়ে দিয়ে পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে বলেও সরব তিনি।এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছেএসআইআর কি ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরি করছে, নাকি উল্টে প্রশাসনিক-রাজনৈতিক চাপে ক্লান্ত সাধারণ শিক্ষকদের জীবনই বিপন্ন করে তুলছে? বিএলওদের দাবি, এইভাবে চাপের মধ্যে কাজ চললে, তালিকার ভুল যেমন বাড়বে, তেমনই বাড়বে মৃত্যুর সংখ্যা।

নভেম্বর ২৩, ২০২৫
কলকাতা

"এসআইআর কি মৃত্যুকূপ?" কৃষ্ণনগরে বিএলওর আত্মহত্যায় তীব্র আক্রমণে মুখ্যমন্ত্রী

কৃষ্ণনগরে বিএলও রিঙ্কু তরফদারের আত্মহত্যা ঘিরে রাজ্য রাজনীতি ফের সরগরম। মৃত্যুর আগে পাওয়া তাঁর সুইসাইড নোটে কাজের অতিরিক্ত চাপ ও নির্বাচন কমিশনের এসআইআর প্রক্রিয়াকেই দায়ী করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠতেই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কমিশনকে আক্রমণ করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেনআর কতজনের প্রাণ যাবে এই এসআইআর-এর জন্য? আর কত মৃতদেহ দেখতে হবে আমাদের?মুখ্যমন্ত্রী জানান, রিঙ্কু তরফদার পার্শ্বশিক্ষক ছিলেন, পাশাপাশি বিএলও হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। গভীর মানসিক চাপে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পরিবারের। তাঁর সুইসাইড নোটেই নাকি স্পষ্ট লেখা রয়েছে, এসআইআর-এর চাপ তাঁর পক্ষে আর সহ্য করা সম্ভব ছিল না। সেই নোট প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে প্রশ্ন তুলেছেন মমতাএই প্রক্রিয়া চালু রেখে কমিশন কি মানুষের জীবনের মূল্য ভুলে যাচ্ছে?তবে এই ঘটনার দায় উল্টে রাজ্যের ঘাড়ে চাপিয়েছে বিরোধীরা। বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল জানান, কমিশন ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ করতে বলেছিল, যাতে বিএলওদের ওপর অতিরিক্ত ডিজিটাল কাজের চাপ না পড়ে। কিন্তু রাজ্য সরকার তা মানেনি। তাঁর দাবি, রিঙ্কু অনলাইনে কাজ করতে পারতেন না। যদি ডেটা এন্ট্রি অপারেটর রাখা হত, তাহলে হয়তো এই ট্র্যাজেডি ঘটত না। তাঁর কথায়, এই মৃত্যুর দায় সম্পূর্ণ মুখ্যমন্ত্রীর।এদিকে রিঙ্কুর মৃত্যুর পরই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়াল নদিয়ার জেলাশাসকের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন। কী কারণে এই মৃত্যু, কী ধরনের কাজের চাপ ছিলএসব তথ্য দ্রুত জমা দিতে বলা হয়েছে।এর আগেও একই অভিযোগ উঠেছিল জলপাইগুড়ির মালবাজারে। সেখানেও এসআইআর-এর অতিরিক্ত চাপেই বিএলও শান্তি মুনি ওরাঁও আত্মঘাতী হয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন তাঁর পরিবার। সেই ঘটনার পর মমতা এসআইআর প্রক্রিয়া বন্ধ করার দাবি জানিয়ে কমিশনকে চিঠি পাঠান। কিন্তু কয়েক দিনের ব্যবধানে ফের আরেক বিএলও-র মৃত্যুতে আরও ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী।এসআইআর নিয়ে যে বিস্ফোরণধর্মী চাপ সৃষ্টি হয়েছে, তা নিয়ে রাজ্যের সর্বস্তরে প্রশ্নএভাবে কি চলতে পারে? আর একজন কর্মকর্তার মৃত্যু কি প্রশাসন ও কমিশনকে নাড়া দেবে? কৃষ্ণনগরের এই ঘটনা সেই প্রশ্নকে আরও জোরালো করে তুলল।

নভেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

৭ হাজার জীবন্ত ভোটার গায়েব, হাজার হাজার মৃতের নাম তালিকায়—মালদহে চরম গরমিল

মালদহের ভোটার তালিকা ঘেঁটে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ। তালিকা হাতে নিয়ে দেখা গেলএখনও জীবিতদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভোটার হিসেবে রয়েছেন হাজার হাজার মৃত মানুষ। শুধু তাই নয়, জেলার বিভিন্ন বিধানসভায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না আরও কয়েক হাজার আসল ভোটারকে। যে পরিস্থিতি ঘিরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল।সূত্রের খবর, মালদহ জেলায় ভোটার তালিকায় খোঁজ মিলছে না ৭ হাজার ১৭১ জন ভোটারের। এঁদের বাড়িতে এনুমারেশন ফর্ম পৌঁছয়নি, এবং স্থানীয় প্রশাসন তাঁদের সন্ধানও পায়নি। অন্যদিকে একই তালিকায় রয়ে গিয়েছে ৫ হাজার ৫৭২ জন মৃত ব্যক্তির নাম। ২০২৫ সালের এখনও কার্যকর তালিকায় মৃতদের নাম দেখে অবাক হয়ে যান কমিশনের আধিকারিকরা।বৃহস্পতিবার এসআইআরস্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনএর কাজ পর্যালোচনা করতেই মালদহে আসে কেন্দ্রীয় কমিশনের প্রতিনিধি দল। দলের নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতীয় নির্বাচনী আধিকারিক জ্ঞানেশ ভারতী। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়াল। জেলা প্রশাসনিক ভবনে দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টার বৈঠকে তাঁরা জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে একে একে তালিকার ত্রুটি, মৃত ভোটারদের নাম এবং অনট্রেসযোগ্য ভোটারদের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন।জেলায় কোন কোন বিধানসভায় সবচেয়ে বেশি সমস্যা, সেই হিসেবও উঠে আসে বৈঠকে। দেখা যায়ইংরেজবাজার কেন্দ্রে নিখোঁজ ভোটারের সংখ্যা সর্বাধিক, ১১৭৩ জন। এরপরেই সুজাপুরে ৯৯৬ জন, রতুয়ায় ৯৪৪ জন, মানিকচকে ৮৩০ জন এবং বৈষ্ণবনগরে ৭৮৬ জন ভোটারের হদিশই মিলছে না।শুধু নিখোঁজ নয়, তালিকায় মৃতদের সংখ্যাও কম নয়। মৃত ভোটারের সংখ্যায়ও শীর্ষে ইংরেজবাজারএখানে মৃত হয়েও তালিকায় নাম রয়েছে ১০১৭ জনের। সুজাপুরে ৮২২, রতুয়ায় ৬৮২, মানিকচকে ৬৪১, মালদহ কেন্দ্রেই ৬১৯ এবং বৈষ্ণবনগরে ৫৯৪ জন মৃত মানুষের নাম ভোটার তালিকায় রয়ে গেছে।কমিশনের নির্দেশপদ্ধতি মেনে দ্রুত নোটিস দিয়ে মৃতদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে এবং যাঁদের খোঁজ নেই তাঁদের বিষয়ে যথাযথ তদন্ত চালিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। বৈঠকের শেষে কমিশনের প্রতিনিধিদের বার্তাও স্পষ্টএভাবে ভোটার তালিকার ভুল-ত্রুটি চলতে দেওয়া যাবে না।মালদহের এই বিশাল গরমিল ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। ভোটের আগে এমন চিত্র সামনে আসায় নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনিক তৎপরতা নিয়েও।

নভেম্বর ২২, ২০২৫
কলকাতা

“এসআইআর বন্ধ করুন”—নির্বাচন কমিশনকে কড়া চিঠি মমতার, আতঙ্কে রাজ্য

রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে যখন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রশাসনিক স্তরে উদ্বেগ বাড়ছে, ঠিক তখনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি পাঠালেন। চিঠিতে তাঁর দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে এসআইআর প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া বিপজ্জনক ও অমানবিক। অবিলম্বে প্রক্রিয়া বন্ধ বা স্থগিত করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, কয়েক হাজার বিএলও দিনরাত রাস্তায় ঘুরে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করছেন। পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ নেই, নেই প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো। এই অবস্থায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এত বড় কাজ শেষ করা সম্ভব নয়। এতে এমন সব ভুল-ত্রুটি তৈরি হবে, যার দায় শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষকে বইতে হবে। অনেক প্রকৃত ভোটার ভুলবশত বাদ পড়ে যেতে পারেন। মমতার কথায়, এভাবে চাপিয়ে দেওয়া হলে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভোটাধিকারই প্রশ্নের মুখে পড়বে।চিঠিতে তিনি আরও লিখেছেন, মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিন আত্মহত্যা, অসুস্থতা, হতাশার খবর আসছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে। ইতিমধ্যেই এক বিএলও-র মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। আরও বহু বিএলও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের ওপর ভয়ঙ্কর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। মমতার দাবি, এই পরিস্থিতি বোঝার বদলে কলকাতার সিইও দপ্তর উল্টো বিএলওদের ভয় দেখাচ্ছে, শোকজ করছে, কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল ও অমানবিক করে তুলছে।তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এত বড় দায়িত্ব কি মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ করা সম্ভব? ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত ডেটা আপলোড করার যে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তা বাস্তবে কতটা সম্ভব, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আশঙ্কা, চরম চাপে ভুলভ্রান্তি অনিবার্য, আর ভুল ফর্ম জমা পড়লে প্রকৃত ভোটারই সবচেয়ে বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন।চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টভাবে লিখেছেন, এই প্রক্রিয়া যে উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছেছে, তা অস্বীকার করা যাবে না। প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও তিনি মানুষের ভয়, দুর্দশা ও অস্থিরতা সরাসরি অনুভব করছেন। সেই কারণেই এসআইআর স্থগিত বা বন্ধ করার দাবি জানান তিনি। একইসঙ্গে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপও চান।

নভেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

এসআইআর আতঙ্ক কি এবার বিএলওদের জীবন বিপন্ন করছে? সেরিব্রাল অ্যাটাকে পক্ষাঘাতের শিকার তপতী

এসআইআর ঘিরে রাজ্যজুড়ে যখন আতঙ্ক তুঙ্গে, ঠিক সেই সময় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এলেন হুগলির কোন্নগরের বিএলও তপতী বিশ্বাস। বুধবার সকালে প্রতিদিনের মতো এনুমারেশন ফর্ম বিলি করতে বেরিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎই রাস্তার মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয়রাই তাঁকে দ্রুত কোন্নগর পুরসভার হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, তপতীদেবীর সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছে এবং এর ফলে তাঁর শরীরের বাঁ দিক পুরোপুরি অবশ হয়ে গিয়েছে।তপতীর স্বামী প্রবীর বিশ্বাস জানাচ্ছেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে স্ত্রী প্রবল মানসিক চাপে ছিলেন। এসআইআর সংক্রান্ত কাজের চাপ, মানুষের প্রশ্নের জবাব দেওয়া, এবং প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘরে ঘরে গিয়ে ফর্ম বিলি করার চাপ আর নিতে পারছিলেন না তিনি। প্রবীরের কথায়, ও খুবই চিন্তায় ছিল। মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। এমন অবস্থায় আর কাজ চালানো সম্ভব ছিল না।ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই কমিশনের তরফে তপতী বিশ্বাসকে বিএলও-র দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরিবারের দাবি, আপাতত তপতীর অবস্থা স্থিতিশীল হলেও পুরোপুরি সুস্থ হতে সময় লাগবে। চিকিৎসকেরা তাঁর শারীরিক অবস্থার দিকে কড়া নজর রাখছেন।এসআইআর ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যে নানা আশঙ্কা, গুঞ্জন ও ভুল বোঝাবুঝি ছড়িয়েছে। অনেকের মনেই বাড়ছে অস্থিরতা, উদ্বেগ এবং দেশছাড়া হওয়ার ভয়। শুধু সাধারণ মানুষ নন, ক্রমাগত কাজের চাপে বিএলওরাও মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন বলে অভিযোগ উঠছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা এবং আত্মহত্যার ঘটনাও সামনে এসেছে। তপতী বিশ্বাসের এই ঘটনা সেই আতঙ্ক-চাপের আরেকটি নির্মম প্রতিচ্ছবি।

নভেম্বর ২০, ২০২৫
দেশ

চেয়ারের লড়াই শুরু! চিরাগের উপমুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবি নিয়ে BJP-তে চাপ

বিহার ভোটের ফল বেরোনোর পরই যেন বদলে গেল পুরো রাজনৈতিক সমীকরণ। প্রচার পর্বের শেষদিনেই চিরাগ পাসওয়ান স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিলেন, তিনি চান উপমুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার। অনেকেই ভেবেছিলেন, এটা হয়তো নির্বাচনী বক্তব্যের আবেগ। কিন্তু ফল বেরোতেই দেখা গেল, ছোট দল নিয়েও তিনি বড় কাজ করে ফেলেছেন। এলজেপি মাত্র ২৯টি আসনে লড়েই দখল করেছে ১৯টিযা বিহারের ক্ষমতার অঙ্কে বড় ভূমিকা রাখার মতো সাফল্য।এত বড় ফলের পর চিরাগ যে নিজের দাবি আরও জোরে তুলবেন, তা আগেভাগেই অনুমান ছিল। সেই দাবির পথেই যেন হাঁটা শুরু করে দিলেন তিনি। শনিবার বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন চিরাগ। রাজনৈতিক মহলে এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ যে নীতীশের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে তিনি সরাসরি বিদ্রোহ ঘোষণা করে এনডিএ ছেড়ে দিয়েছিলেন, সেই নীতীশের সঙ্গেই এখন উষ্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠছে।২০২০ সালের ভোটে এলজেপি ১৩০ আসনে লড়েও মাত্র ১টিতে জয় পেয়েছিল। কিন্তু সেই ভোট কাটাকাটিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় জেডিইউ। সেই সময় থেকেই নীতীশচিরাগ সম্পর্কের তিক্ততা চরমে ওঠে। কিন্তু ২০২৫এর আগে বিজেপি ফের চিরাগকে এনডিএতে ফিরিয়ে আনে এবং নীতীশের সঙ্গেও দূরত্ব কমায়। এবার সেই ঘনিষ্ঠতা বিজেপির জন্য নতুন মাথাব্যথা তৈরি করে দিতে পারে।সাক্ষাতের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসিমুখে ছবি পোস্ট করেছেন চিরাগ। সঙ্গে লিখেছেন, আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। এলজেপির প্রার্থীদের প্রতি তাঁর সমর্থন প্রশংসনীয়। রাজনৈতিক মহল বলছে, চিরাগের প্রশংসার লক্ষ্য BJPর দিকে স্পষ্ট বার্তানীতীশকেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চান। আর তার সঙ্গে তাঁর নিজের দাবিও জোরদার হবেউপমুখ্যমন্ত্রীর পদ চাই তাঁর দলে।বিহারের বিদায়ী মন্ত্রিসভায় দুই ডেপুটি সিএমই বিজেপির। কিন্তু যদি চিরাগ সরাসরি উপমুখ্যমন্ত্রিত্ব দাবি করেন, তবে BJPর পক্ষে সেই দুই চেয়ার ধরে রাখা কঠিন হবে। আবার চিরাগকে রাগানোও ঝুঁকির। কারণ ভবিষ্যতে যদি BJP আর JDUর মধ্যে কোনও টানাপোড়েন দেখা দেয়, তখন ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতে চিরাগই হয়ে উঠতে পারেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুখ।বিহার রাজনীতির অঙ্ক তাই আবারও বদলের ইঙ্গিত দিচ্ছেআর তার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন রামবিলাস পাসওয়ানের উত্তরাধিকারী, যুবা বিহারী চিরাগ পাসওয়ান।

নভেম্বর ১৬, ২০২৫
দেশ

নকশাল-অধ্যুষিত অঞ্চলে রেকর্ড ভোট—কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী?

বিহার নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগ যখন তুঙ্গে, তখন বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরব হয়ে সোজাসুজি ভরসা দিলেন কমিশনকে। বিশেষত ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় পুনর্বিবেচনা (SIR) নিয়ে যে আপত্তি উঠেছিল, সেই ইস্যুতে তিনি বললেনভোটাররা, বিশেষ করে যুবসমাজ, ভোটার তালিকা বিশুদ্ধকরণকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখে। তাঁর কথায়, পরিষ্কার ভোটার তালিকা গণতন্ত্রের মূল ভিত, তাই সব রাজনৈতিক দলকেই বুথ স্তরে ভোটার তালিকা যাচাইয়ে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া উচিত।বিহার বিধানসভা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কমিশন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নির্বাচন পরিচালনা করেছে এবং বিরোধীদের তোলা অভিযোগের কোনও ভিত্তিই নেই। তিনি দাবি করেন, যে সব অভিযোগ ছড়ানো হচ্ছে, তা মানুষের বিশ্বাস নষ্ট করার চেষ্টা। মোদীর মতে, যুবসমাজ এখন অনেক বেশি সচেতনতালিকা থেকে নকল নাম বাদ দেওয়া এবং নতুন ভোটার যুক্ত করাকে তারা গুরুত্বের চোখে দেখে, তাই এই পরিশোধন প্রক্রিয়া অনিবার্য।বক্তৃতায় আরজেডিকে সরাসরি নিশানা করেন মোদী। তিনি বলেন, জঙ্গল রাজ এবং কট্টা সরকার-এর কথা আগে কেউ চ্যালেঞ্জ করত না, কিন্তু এখন সময় বদলে গিয়েছে। তাঁর স্পষ্ট ঘোষণাকট্টা সরকার কখনও ফেরার নয়। এই বক্তব্যে মোদী জানিয়ে দেন যে পুরনো অভিশাপের দিন শেষ, এবং মানুষ এখন উন্নয়ন, আইনশৃঙ্খলা ও স্বচ্ছ রাজনীতি চায়।বিহারের রায়কে গণতন্ত্রের বড় জয় বলে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যেসব এলাকা আগে নকশাল-প্রভাবিত ছিল বা উপেক্ষিত ছিল, সেখানকার ভোটারদের রেকর্ড উপস্থিতি গণতন্ত্রের শক্তিকে আরও দৃঢ় করেছে। এই অংশগ্রহণ প্রমাণ করে মানুষ এখন ভোটব্যবস্থাকে বিশ্বাস করে, এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নিজের মত প্রকাশ করতে আগ্রহী।মোদীর মতে, এই ফলাফল শুধু কোনও এক দলের জয় নয়, বরং মানুষের আস্থার জয়, এবং পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিলবিহার উন্নয়ন ও পরিবর্তনের পক্ষে দাঁড়িয়েছে।

নভেম্বর ১৪, ২০২৫
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 24
  • 25
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

আইএমএফের চাপে লাগামছাড়া জিএসটি! পাকিস্তানে জনবিস্ফোরণের আশঙ্কা

কন্ডোমের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি নিয়ে চরম উদ্বেগে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ-এর নির্দেশে এই কর বসানো হয়েছে। এর ফলে কন্ডোমের দাম এতটাই বেড়েছে যে তা এখন নিম্ন ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আইএমএফ-এর কাছে কর কমানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আইএমএফ। এই সিদ্ধান্তে দেশে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের আশঙ্কা করছে পাক সরকার।আইএমএফ-এর ঋণের উপরই কার্যত নির্ভরশীল পাকিস্তানের অর্থনীতি। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি সামাল দিতে চলতি বছরে বড় অঙ্কের ঋণ নিয়েছে ইসলামাবাদ। সেই ঋণের শর্ত হিসেবেই কর আদায় বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে আইএমএফ। তার জেরেই কন্ডোম, স্যানিটারি ন্যাপকিন ও শিশুদের ডাইপারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি বসানো হয়েছে।পাকিস্তান সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছিল, জনস্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কথা ভেবে অন্তত কন্ডোমের উপর থেকে কর কমানো হোক। কিন্তু আইএমএফ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের মাঝপথে কর কাঠামোয় কোনও পরিবর্তন করা যাবে না। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষের বাজেটে। আইএমএফের যুক্তি, কন্ডোমের উপর থেকে কর তুলে নিলে সরকারের কয়েকশো কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হবে, যা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।এই পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগে রয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার। পাকিস্তানে বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রায় ২.৫৫ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ বাড়ছে। সরকার মনে করছে, কন্ডোমের দাম বেড়ে যাওয়ায় বহু মানুষ তা ব্যবহার করতে পারছেন না। এর ফলে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে, যা দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের উপর আরও চাপ ফেলবে।পাক সরকারের আশঙ্কা, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ভবিষ্যতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে। কিন্তু আইএমএফ-এর কড়া অবস্থানের সামনে আপাতত অসহায় ইসলামাবাদ। এখন পরের বাজেটের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া শাহবাজ সরকারের হাতে আর কোনও পথ খোলা নেই।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

তাহেরপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে মর্মান্তিক ঘটনা, কুয়াশায় প্রাণ গেল চারজনের

এসআইআর আবহের মধ্যেই শনিবার পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নদিয়ার তাহেরপুরে তাঁর সভা রয়েছে। সকাল থেকেই সভাস্থলের দিকে ভিড় জমতে শুরু করেছিল। ঠিক সেই সময়েই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ট্রেনের ধাক্কায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।জানা গিয়েছে, মৃত ও আহত সকলের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায়। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মোদির সভায় যোগ দিতেই নদিয়ার তাহেরপুরে এসেছিলেন। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।শনিবার ভোরে তাহেরপুর স্টেশনের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার সাবলদহ গ্রাম থেকে প্রায় ৪০ জন তাহেরপুরে আসেন। ভোরবেলা তাঁদের মধ্যে কয়েক জন রেললাইনের ধারে প্রাতঃকৃত্য সারতে যান। সেই সময় আচমকাই দ্রুতগতির একটি ট্রেন চলে আসে। ট্রেনের ধাক্কায় চার জন লাইনের উপর ছিটকে পড়েন। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়।একই ঘটনায় আরও দুজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্য জনের চিকিৎসা চলছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ভোরের ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা অনেকটাই কম ছিল। সেই কারণেই ট্রেন আসছে বুঝতে না পারায় এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে অন্য সম্ভাবনাগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।মতুয়াগড় হিসেবে পরিচিত নদিয়ার তাহেরপুরে এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদির সভা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। তার মধ্যেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

হট টাব থেকে সুইমিং পুল, এপস্টেইন নথিতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর ছবি

কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইনকে ঘিরে ফের তোলপাড় আমেরিকার রাজনীতি। এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্কিত হাজার হাজার পাতার নথি প্রকাশ করল মার্কিন ন্যায় বিভাগ। সেই নথিতে বারবার উঠে এসেছে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের নাম। প্রকাশ্যে এসেছে একাধিক ছবি। কিন্তু বিস্ময়ের বিষয়, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম ও ছবি সেখানে প্রায় নেই বললেই চলে।প্রকাশিত ছবিগুলির একটিতে তরুণ বিল ক্লিন্টনকে একটি হট টাবে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ছবির একটি অংশ কালো রঙে ঢেকে রাখা হয়েছে। অন্য একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, এক মহিলার সঙ্গে সাঁতার কাটছেন ক্লিন্টন। ওই মহিলা এপস্টেইনের ঘনিষ্ঠ ও প্রেমিকা ঘিসলাইন ম্যাক্সওয়েল বলে মনে করা হচ্ছে। আরও একটি ছবিতে ক্লিন্টনের পাশে দেখা গিয়েছে পপ সংগীতের কিংবদন্তি মাইকেল জ্যাকসনকে। তাঁদের পাশেই ছিলেন গায়িকা ডায়ানা রস।এই সব ছবি ও তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রায় সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি। নব্বইয়ের দশক এবং দুই হাজার দশকের শুরুতে এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠতার কথা আগে একাধিকবার সামনে এসেছে। কিন্তু সদ্য প্রকাশিত নথিতে তাঁর কোনও ছবি নেই। নামও এসেছে মাত্র একবার, একটি যোগাযোগের খাতায়। সেই খাতাটি কার, তাও স্পষ্ট নয়।অথচ এর আগে প্রকাশিত নথিতে ট্রাম্পের উপস্থিতির কথা জানা গিয়েছিল। এমনকি এপস্টেইনের ব্যক্তিগত বিমানে তাঁকে দেখা যাওয়ার কথাও উঠে এসেছিল। সেই কারণেই নতুন নথিতে তাঁর অনুপস্থিতিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকের ধারণা, নিজেকে আড়াল করতে বিল ক্লিন্টনের দিকেই আলো ঘোরানোর চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। উল্লেখযোগ্য ভাবে, মাসখানেক আগেই এপস্টেইনের সঙ্গে বিল ক্লিন্টনের সম্পর্ক নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছিলেন ট্রাম্প। সেই তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানা যায়।এই পরিস্থিতিতে বিল ক্লিন্টনের শিবির থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র বলেন, এপস্টেইন সংক্রান্ত তদন্ত শুধুমাত্র বিল ক্লিন্টনকে লক্ষ্য করে করা হচ্ছে না। তাঁর বক্তব্য, বহু পুরনো ছবি প্রকাশ করতেই পারে প্রশাসন, কিন্তু গোটা বিষয়টি শুধু ক্লিন্টনকে ঘিরে নয়। তিনি বলেন, এপস্টেইনের ক্ষেত্রে দুধরনের মানুষ ছিলেন। একদল, যাঁরা অপরাধের কথা প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। আরেক দল, যাঁরা এরপরও যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন। তাঁদের দাবি, বিল ক্লিন্টন প্রথম দলের মধ্যেই পড়েন।নাম না করলেও ক্লিন্টন শিবির যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই নিশানা করছে, তা স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ট্রাম্প যতই চেষ্টা করুন না কেন, এপস্টেইন কেলেঙ্কারি থেকে নিজের নাম পুরোপুরি সরিয়ে রাখা তাঁর পক্ষে সহজ হবে না।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
দেশ

অসমে ট্রেন-হাতির সংঘর্ষ, লাইনচ্যুত রাজধানী, মৃত অন্তত ৮ হাতি

ভোরের ঘন কুয়াশায় কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। সেই অবস্থাতেই একপাল হাতিকে ধাক্কা মারল রাজধানী এক্সপ্রেস। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় লাইনচ্যুত হয়ে যায় রাজধানী এক্সপ্রেসের পাঁচটি কামরা। ট্রেনের ধাক্কায় অন্তত আটটি হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। দুর্ঘটনার জেরে ওই রুটে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে ট্রেন চলাচল।শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ভোরে অসমের যমুনামুখ-কামপুর সেকশনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এলাকাটি নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের লুমডিং ডিভিশনের আওতায়। জানা গিয়েছে, সাইরং থেকে নয়া দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেস দ্রুত গতিতে আসছিল। সেই সময়ই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে রেললাইন পারাপার করছিল একপাল হাতি। চারদিকে ঘন কুয়াশা থাকায় দূর থেকে কিছুই দেখতে পাওয়া যায়নি। সেই কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক অনুমান।গুয়াহাটি থেকে প্রায় ১২৬ কিলোমিটার দূরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অংশটি হাতির নির্দিষ্ট করিডর নয়। ট্রেনের লোকো পাইলট জানিয়েছেন, সামনে হাতির পাল দেখতে পেয়েই তিনি সঙ্গে সঙ্গে ইমার্জেন্সি ব্রেক কষেন। কিন্তু হাতিগুলি আরও এগিয়ে আসায় শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়নি।প্রবল ধাক্কার জেরে ট্রেনের ইঞ্জিন ও পাঁচটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। তবে স্বস্তির খবর, এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও যাত্রীর আহত বা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার পর যেসব কামরা লাইনচ্যুত হয়েছিল, সেখানকার যাত্রীদের নিরাপদে অন্য কামরায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মোট আটটি হাতি রেললাইন পার হচ্ছিল। তাদের মধ্যে একাধিক হাতির মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত একটি রিলিফ ট্রেন পাঠানো হয়। রেল আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন।রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, লাইনচ্যুত কামরা এবং হাতিগুলির দেহ ট্র্যাকে ছড়িয়ে থাকায় উদ্ধারকাজে বেশ সময় লাগছে। সেই কারণে অসমের উপরের অংশ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কয়েকটি রুটে ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।যাত্রীরা যাতে অসুবিধায় না পড়েন, সে জন্য গুয়াহাটি পৌঁছনোর পর রাজধানী এক্সপ্রেসে অতিরিক্ত কোচ জুড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

হিন্দু যুবককে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা, বাংলাদেশে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনার নিন্দা বিএনপির

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করল বিএনপি। একই সঙ্গে এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ জুড়ে যে হিংসা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর অভিযোগ, একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত করে তোলার ষড়যন্ত্র চলছে।শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে বিএনপি। একই সঙ্গে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার ও দ্রুত বিচারের দাবি জানান তিনি। তাঁর বক্তব্য, হাদির মৃত্যুর পর যেভাবে সারা দেশে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে, তা নিছক স্বতঃস্ফূর্ত নয়, বরং পরিকল্পিত বলেই মনে হচ্ছে।হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের দফতরে ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর ঘটনাও তীব্র ভাষায় নিন্দা করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, এই হামলার ফলে কর্মরত সাংবাদিকদের জীবন চরম ঝুঁকির মুখে পড়ে। পাশাপাশি নিউ এজ-এর সম্পাদক নূরুল কবীরকে মারধর ও হেনস্থার ঘটনা, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি বিজড়িত ৩২ ধানমন্ডি, ছায়ানট ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর উপর হামলারও নিন্দা করেন তিনি। ভারতীয় হাই কমিশনে হামলার প্রসঙ্গও তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে।এই সব ঘটনার মধ্যে সবচেয়ে নৃশংস বলে একটি ঘটনার উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি জানান, ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে এক হিন্দু যুবককে গাছে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় এবং পরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে ভয়াবহ, ঘৃণ্য ও ন্যাক্কারজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সমস্ত ঘটনা প্রমাণ করে যে পুরনো একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। তাদের লক্ষ্য বহু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার নস্যাৎ করা এবং দেশে ফ্যাসিবাদের নতুন রূপ প্রতিষ্ঠা করা।বর্তমান ইউনূস সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, সরকারের নাকের ডগাতেই এই সব ঘটনা ঘটছে, অথচ সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক বলে মনে হচ্ছে না। এর ফলে দেশের ভিতরে ও বাইরে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাঁর দাবি, এই হত্যাকাণ্ড ও হিংসার বিরুদ্ধে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং দোষীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি তুলেছে। তবুও হিংসা থামছে না, যা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিচ্ছে।শেষে তিনি বলেন, শান্তিকামী ও গণতান্ত্রিক দেশবাসীর পক্ষ থেকে এই অপশক্তিকে সতর্ক করে দিতে চায় বিএনপি। এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশকে ধ্বংস করতে দেওয়া যাবে না। ঐক্যবদ্ধভাবেই এই ষড়যন্ত্র ও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর আগুনে পুড়ছে বাংলাদেশ? একের পর এক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা

বাংলাদেশ জুড়ে ফের অশান্তির আগুন। শিল্প ও সংস্কৃতির দেশ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশে একের পর এক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সম্প্রতি ঢাকায় সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা সামনে এসেছে। এর আগে ছায়ানট, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের দফতরেও হামলার ঘটনা ঘটে। প্রশ্ন উঠছে, এই সব তাণ্ডব কি শুধুই ওসমান হাদির মৃত্যুর ক্ষোভ, না কি এর পিছনে রয়েছে সংগঠিত কোনও শক্তি?শুক্রবার রাতে ঢাকার তোপখানা সড়কে অবস্থিত উদীচীর কার্যালয়ে প্রথমে ভাঙচুর চালানো হয়। এরপর সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দমকলের চারটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে জানিয়েছেন, এটি পরিকল্পিত হামলা। তাঁর দাবি, ছায়ানট, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার ধারাবাহিকতার মধ্যেই উদীচীর উপর আঘাত এসেছে।উদীচী কার্যালয়ে হামলার খবর পেয়ে সেখানে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির একটি প্রতিনিধি দল। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম ও তাসনিম জারা-সহ দলের নেতৃত্ব। সেখানে ইউনূস সরকার দরকার নেই স্লোগান ওঠে বলে জানা গেছে।এই অশান্তির সূত্রপাত হয় এক সপ্তাহ আগে। ঢাকার রাজপথে গুলিবিদ্ধ হন জুলাই অভ্যুত্থানের মুখ ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি। মাথায় গুলি লাগার পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৮ ডিসেম্বর সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা বাড়তে থাকে।ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আগুন জ্বলে ওঠে। হামলা হয় দেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের দফতরে। একই সঙ্গে আক্রমণ চালানো হয় বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ৩২ ধানমন্ডি এবং প্রখ্যাত সংস্কৃতি কেন্দ্র ছায়ানটেও। ভাঙা হয় বাদ্যযন্ত্র, ছিঁড়ে ফেলা হয় বই। শিল্প ও সংস্কৃতির উপর এই লাগাতার হামলায় উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ থেকে বুদ্ধিজীবী মহল।যে বাংলাদেশ এক সময় গান, নাটক, কবিতা আর মুক্তচিন্তার জন্য পরিচিত ছিল, আজ সেখানে মৌলবাদী হিংসার ছায়া আরও গাঢ় হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

যুবভারতী কাণ্ডে নতুন মোড়, শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়িতে হানা বিধাননগর পুলিশের

যুবভারতী কাণ্ডের পর থেকেই রিষড়ার একটি ঝাঁ চকচকে তিনতলা বাড়ি ঘিরে কৌতূহল বেড়েছে। শুক্রবার সকালে সেই বাড়িতেই হাজির হল বিধাননগর পুলিশ। যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে হওয়া বিশৃঙ্খলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের এই বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন শতদ্রু দত্ত। ওই দিন স্টেডিয়ামে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। সেই ঘটনার পরই আয়োজক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং পুলিশ শতদ্রুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঠিক সেই সময়ই শুক্রবার সকালে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছে যায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বিধাননগর থানার পাঁচজন আধিকারিক, তাঁদের মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীও ছিলেন, এদিন সকালে রিষড়ায় যান। প্রথমে তাঁরা রিষড়া থানায় হাজির হন। পরে স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাঙুর পার্ক এলাকায় শতদ্রু দত্তের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেই সময় বাড়িতে শুধুমাত্র এক পরিচারিকা ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা।এরপর তিনতলা বাড়ির প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে একটি ব্যক্তিগত ফুটবল মাঠ এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে। সেগুলিও ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। তবে তল্লাশির পর বাড়ি থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।এদিকে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, মেসির অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। যুবভারতী কাণ্ডে পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইসিআইআর দায়ের করে আর্থিক লেনদেনের উৎস খতিয়ে দেখতে পারে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
দেশ

সংবাদমাধ্যমে আগুন, ভারত-বিরোধী স্লোগান—ঢাকা পরিস্থিতিতে কড়া নজর দিল্লির

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকাসহ একাধিক শহরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে এবং কট্টরপন্থীদের একাংশ প্রকাশ্যে ভারত-বিরোধী মন্তব্য করছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে কড়া নজর রাখছে ভারত।সূত্রের খবর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় যেখানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস রয়েছে, সেখানে কর্মরত ভারতীয় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে নয়া দিল্লি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে একাধিক জায়গায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ চলে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই বিক্ষোভ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বাসভবন ঘিরে ধরার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর আসে। বিভিন্ন দিক থেকে অফিস ঘেরাওয়ের আহ্বান জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আজও ভিসা কেন্দ্র বন্ধ থাকতে পারে।উল্লেখ্য, এর আগেও বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক মিছিলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত। সেই মন্তব্যের পরই দিল্লি কড়া অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে স্পষ্ট জানানো হয়, এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য ভারত কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর স্পষ্ট, সেই বার্তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal